খুলনা, বাংলাদেশ | ১৬ কার্তিক, ১৪৩১ | ১ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২৪৩
  অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই
  রাজধানীর মিরপুরে গার্মেন্টস কর্মীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, নারীসহ ২ পোশাক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ

ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ

গেজেট ডেস্ক

ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ বৃহস্পতিবার। ১৯৭৬ সালের এই দিনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভারতের ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পদ্মা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ফারাক্কা অভিমুখে লাখো জনতা নিয়ে লং মার্চ করেন। লং মার্চ শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট হাই স্কুল মাঠে সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। সেই থেকে ১৬ মে ফারাক্কা দিবস পালিত হয়ে আসছে।

১৯৭৫ সালে ভারত সরকার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ১৮ কিলোমিটার উজানে ফারাক্কা বাঁধ উদ্বোধন করে। তখন চুক্তি অনুযায়ী পানির ন্যায্য হিস্যা না পেয়ে মরুকরণের দিকে যাচ্ছিল বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। দেশের বৃহত্তম নদী পদ্মা আজ পানির অভাবে শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ৩০টি নদী আজো বিলুপ্তির পথে। অন্য দিকে ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক হারে নিচে নেমে যাচ্ছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে এখন পানির স্তর স্থান ভেদে ১৫০ থেকে ১৭০ ফুট পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। আর নগরীতে অন্তত ৭০ থেকে ৯০ ফুট পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতোপূর্বে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে বিষয়টি বারবার উত্থাপন করা হলেও কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরে শুধু আশ্বাসের বাণী শোনানো হয়। এ ব্যাপারে ভারতের কোনো ভ্র“ক্ষেপ নেই। ভারত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে তার পানির ন্যায্য হিস্যা প্রদান করছে না।

জানা যায়, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফারাক্কা লংমার্চের প্রস্তুতির সময় বিশ্ব নেতাদের এ সম্পর্কে অবহিত করে বার্তা পাঠান। তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব ড. কুর্ট ওয়াল্ডহেইম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড, চীনের নেতা মাও সেতুং, সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিন প্রমুখের কাছে তারবার্তা পাঠিয়ে ভারতের ওপর তাদের প্রভাব খাটিয়ে গঙ্গার পানি বণ্টনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তির ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন। এ ছাড়া মওলানা ভাসানী জনসভা থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ফারাক্কার ফলে বাংলাদেশে এরই মধ্যে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তা সরেজমিনে দেখতে আসার আহŸান জানান।

১৯৯৬ সালে ভারত-বাংলাদেশের ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি অনুযায়ী খরা মৌসুমে জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ সে পানি পায়নি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভারত গঙ্গার উত্স থেকে ফারাক্কা পর্যন্ত বহু বাঁধ আর কৃত্রিম খালের মাধ্যমে গঙ্গার পানি প্রত্যাহার করে চলেছে। এ ছাড়া কানপুরের গঙ্গা ব্যারাজ ও হরিদুয়ারে গঙ্গার পানি প্রত্যাহারে নির্মিত কৃত্রিম খালসহ অসংখ্য স্থাপনা নির্মাণ করেছে তারা। উত্তর প্রদেশ ও বিহারে সেচের জন্য প্রায় ৪০০ পয়েন্ট থেকে পানি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এতে বাংলাদেশ পানির ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

খুলনা গেজেট/েএইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!